টিকটক থেকে রেয়ার আর্থ পর্যন্ত... ট্রাম্প-শি জিনপিং-এর গোপন আলোচনা, কিন্তু এখানে আটকে পড়েছে গিঁট! আমেরিকা-চীনের কৌশল কী?
অ্যাটলান্টা, ২৯ অক্টোবর ২০২৫: আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চার বছর পর প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই ট্রাম্প শি জিনপিং সম্মেলন গুরুবার অনুষ্ঠিত হবে, যা আমেরিকা চীন সম্পর্ক এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। রেয়ার আর্থ, ফেনটানিল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, তাইওয়ান এবং টিকটক এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে। দুই সুপারপাওয়ারের মধ্যে বাড়তে থাকা ট্রেড ওয়ার এবং ভূ-রাজনৈতিক টেনশন কমানোই এর মূল উদ্দেশ্য।
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ছে চাপ: ট্রাম্পের পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়াশিংটন এবং বেইজিং বাণিজ্য, প্রযুক্তি এবং বিশ্ব প্রভাবের জন্য লড়াই করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ট্রাম্প শি জিনপিং মিটিং আমেরিকা চীন ট্রেড ওয়ার এর নতুন অধ্যায় লিখতে পারে। গ্লোবাল ইকোনমি এর উপর এর প্রভাব অপরিসীম।
রেয়ার আর্থ যুদ্ধ: চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য
রেয়ার আর্থ মেটালস – এই খনিজ আমেরিকার ডিফেন্স, অটোমোবাইল এবং ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রির জন্য অপরিহার্য। চীন বিশ্বের ৯০% সরবরাহ করে। সম্প্রতি বেইজিং এর এক্সপোর্ট ব্যান এর জবাবে ট্রাম্প সব চীনা পণ্যে ১০০% ট্যাক্স ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু পরে তিনি বলেন, “এত উঁচু ট্যাক্স টেকসই নয়। আমরা ডিল করব!”
রেয়ার আর্থ সাপ্লাই চেইন নিয়ে ট্রাম্প শি জিনপিং এর আলোচনা হবে। আমেরিকা চায় চীন এক্সপোর্ট খুলে দিক, যাতে ইভি ব্যাটারি এবং মিলিটারি টেক এর খরচ কমে। এটি আমেরিকা চীন টেক ওয়ার এর কেন্দ্রবিন্দু।
ফেনটানিল সংকট: নেশার যুদ্ধে ট্যাক্সের খেলা
ফেনটানিল – আমেরিকায় প্রতি বছর লক্ষাধিক মৃত্যুর কারণ। ট্রাম্প মার্চ থেকে চীনা পণ্যে ২০% ট্যাক্স লাগিয়েছেন, অভিযোগ করে বেইজিং এই ডেডলি ড্রাগ রোধে ব্যর্থ। চীন বলছে, “আমরা সহযোগিতা করছি। ট্যাক্স সমাধান নয়!”
পাল্টা আঘাত: চীন আমেরিকান সয়াবিন এ ট্যাক্স লাগিয়েছে। আমেরিকার ৫০% সয়াবিন চীনে যেত। মালয়েশিয়া মিটিং এ আমেরিকার ফাইন্যান্স মিনিস্টার স্কট বেসেন্ট দাবি করেন, চীন এখন বড় পরিমাণে সয়াবিন কিনবে। ফেনটানিল ট্যারিফ এর ফলাফল কী, তা ট্রাম্প শি দেখাবেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: চীনকে চাপ দেবে ট্রাম্প?
রাশিয়া-ইউক্রেন ওয়ার নিয়ে আলোচনা নিশ্চিত। আমেরিকা চায় চীন রাশিয়ান অয়েল কম কিনুক, যা মস্কোর যুদ্ধ ফান্ড করে। চীন নিজেকে নিউট্রাল বলে। জেলেনস্কি ট্রাম্পকে বলেছেন, “শি জিনপিং-এর উপর চাপ দিন!”
এটি গ্লোবাল এনার্জি মার্কেট এবং ইউরোপীয় সিকিউরিটি প্রভাবিত করবে। ট্রাম্প শি সম্মেলন যুদ্ধ শেষ করতে পারে কি?
তাইওয়ান টেনশন: লাল রেখা পার হবে না!
তাইওয়ান – চীনের কোর ইস্যু। বেইজিং বলে, “এটা আমাদের অংশ। দরকারে ফোর্স ব্যবহার করব!” আমেরিকা ডিফেন্স ওয়েপন দেয়, কিন্তু স্বীকৃতি দেয় না। ট্রাম্প এখানে ব্যালেন্স রক্ষা করবেন।
আরো পড়ুন: ২০২৬ নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা: পশ্চিমবঙ্গে ৫২৭ IAS-WBCS ট্রান্সফার
টিকটকের ভাগ্য এবং এআই চিপ যুদ্ধ
টিকটক এর ভবিষ্যৎ এই মিটিং-এর উপর নির্ভরশীল! আমেরিকা বাইটড্যান্স থেকে কন্ট্রোল কেড়ে ইউএস ইনভেস্টর-দের হাতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ট্রাম্প অ্যাডমিন বলছে, “শি জিনপিং-এর সামনে ডিল ফাইনাল হবে!”
এআই এবং চিপস: চীন চিপ ইন্ডাস্ট্রি শক্তিশালী করছে ইউএস ব্যান এড়াতে। এনভিডিয়া সিইও জেনসেন হুয়াং সতর্ক করেছেন, “চীনে চিপ না বিক্রি হলে সিলিকন ভ্যালি পিছিয়ে পড়বে!” সেমিকন্ডাক্টর ওয়ার এ নতুন ডিল হতে পারে।
আমেরিকা-চীন কৌশল: ডিটেন্ট না নতুন যুদ্ধ?
ট্রাম্প এর আমেরিকা ফার্স্ট এবং শি-এর চাইনা ড্রিম – দুটোই কঠোর। কিন্তু ইকোনমিক ইন্টারডিপেন্ডেন্স তাদের টেবিলে আনে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেয়ার আর্থ ডিল, ফেনটানিল কন্ট্রোল এবং টিকটক সেল হলে ট্রেড টেনশন কমবে।
প্রভাব: ভারত এর মতো দেশ সাপ্লাই চেইন শিফটে লাভবান হবে। গ্লোবাল মার্কেট স্টক উঠানামা দেখবে। ট্রাম্প শি জিনপিং এর এই সিক্রেট টক ওয়ার্ল্ড অর্ডার বদলে দিতে পারে!
-1761744621070.webp)