Israel gaza war: হামাস বলছে, রাফাহতে আটকে থাকা তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন, নিরাপদ পথের বিনিময়ে রাফাহতে থাকা যোদ্ধারা অস্ত্র জমা দিয়ে মিশরের হাতে তুলে দেবে এবং সেখানকার টানেলের বিস্তারিত তথ্য দেবে।
gaza war: রবিবার হামাসের (Hamas) সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত রাফাহ এলাকায় আটকে থাকা তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। তারা মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, এক মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির সংকট সমাধানের জন্য বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে।
মধ্যস্থতা প্রক্রিয়ার কাছাকাছি সূত্র রয়টার্সকে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, প্রায় ২০০ যোদ্ধা অস্ত্র জমা দিয়ে গাজার অন্য এলাকায় যাওয়ার অনুমতি পেতে পারে—এই প্রস্তাবের মাধ্যমে এই অচলাবস্থার সমাধান হবে।
হামাসের যোদ্ধাদের অস্ত্র মিশরের কাছে জমা দেবে।
একজন মিশরীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, মিশরীয় মধ্যস্থতাকারীরা প্রস্তাব দিয়েছেন, নিরাপদ পথের বিনিময়ে যোদ্ধারা অস্ত্র মিশরের কাছে জমা দেবে এবং টানেল গুলোর বিস্তারিত তথ্য দেবে, যাতে সেগুলো ধ্বংস করা যায়।
রবিবার আল-কাসাম ব্রিগেডসের বিবৃতিতে ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছে যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর জন্য। তারা বলেছে, যোদ্ধারা শুধু নিজেদের রক্ষা করছে।
শত্রুকে জানা উচিত, আত্মসমর্পণ আর নিজেকে সমর্পণ করার ধারণা আল-কাসাম ব্রিগেডসের অভিধানে নেই, বলেছে গোষ্ঠীটি।
গাজা জুড়ে হামাসের অস্ত্র ত্যাগ
আমেরিকার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার বলেছেন, রাফাহর এই প্রায় ২০০ যোদ্ধার জন্য প্রস্তাবিত চুক্তি গাজা জুড়ে হামাসের অস্ত্র ত্যাগের বৃহত্তর প্রক্রিয়ার একটা পরীক্ষা হবে।
আল-কাসাম ব্রিগেডস রাফাহর যোদ্ধাদের নিয়ে চলমান আলোচনা নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করেনি, তবে ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই সংকট যুদ্ধ বিরতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
আমরা মধ্যস্থতাকারীদের তাদের দায়িত্বের সামনে দাঁড় করাচ্ছি। তাদের এমন সমাধান বের করতে হবে যাতে যুদ্ধবিরতি চালু থাকে এবং শত্রু তুচ্ছ অজুহাতে তা ভঙ্গ না করে, গাজার নিরীহ বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু না বানায়, বলেছে গোষ্ঠীটি।
আরও পড়ুন: AI-এর ভয়ঙ্কর মুখ: ChatGPT কি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে?
আমেরিকার মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি
১০ অক্টোবর আমেরিকার মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাফাহ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর অন্তত দুটি হামলা হয়েছে। ইসরায়েল এর জন্য হামাসকে দায়ী করেছে। হামাস দায় অস্বীকার করেছে।
যুদ্ধবিরতির পর থেকে রাফাহতেই সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে। তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এছাড়া, আল-কাসাম ব্রিগেডস জানিয়েছে, রবিবার দুপুর ২টায় (১২০০ জিএমটি) গাজায় নিহত ইসরায়েলি সেনা হাদার গোল্ডিনের মরাদেহ হস্তান্তর করবে তারা।
যুদ্ধবিরতির পর হামাস ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। হামাস বলছে, গাজার ধ্বংসাবশেষের কারণে মরাদেহ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ইসরায়েল অভিযোগ করছে, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে।
হামাসে ইসরায়েলি বিমান হামলা
ইসরায়েল গাজায় ৩০০ ফিলিস্তিনির মরাদেহ ফেরত দিয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছে, খান ইউনিসের পূর্বে বনি সুহাইলা এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একজন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ৭ অক্টোবরের হামলায় ২৫১ জনকে আটক করেছিল এবং ১,২০০ জনকে হত্যা করেছিল, ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী। ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণে প্রায় ৬৯,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী।
(#Hamas #Rafah #GazaCeasefire #Israel #AlQassamBrigades #EgyptMediation #GazaConflict #MiddleEast #HostageRelease #Palestine)
