AI-এর ভয়ঙ্কর মুখ: ChatGPT কি মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে?

Bhaskar

ChatGPT OpenAI: চ্যাটজিপিটির মূল কোম্পানি ওপেন এআই-এর বিরুদ্ধে ৭টি গুরুতর মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে মানসিক চাপে থাকা ৪ জনকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগও রয়েছে। একজন ১৬ বছরের ছেলে চ্যাটজিপিটির পরামর্শে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, এই চ্যাটবট মানুষকে নিজের ক্ষতি করার পরামর্শ দিচ্ছে। ওপেন এআই বলছে, চ্যাটজিপিটি শুধু একটা চ্যাটবট, পেশাদার চিকিৎসক নয়।

The terrifying face of AI: Is ChatGPT pushing humans to their deaths?


মানুষের প্রতিটি প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেওয়া চ্যাটজিপিটি (ChatGPT) এখন নিজেই বিপদে পড়েছে। তার মূল কোম্পানি ওপেন এআই-এর বিরুদ্ধে ৭টি গুরুতর মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে মানসিক চাপে থাকা অনেককে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগও আছে, যাতে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, ওপেন এআই-এর এই চ্যাটবট মানুষকে সাহায্য করার বদলে তাদের নিজের ক্ষতি করার পরামর্শ দিচ্ছে।

চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা 

১৬ বছরের অ্যাডাম রেইনের বাবা-মা চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাদের দাবি, চ্যাটজিপিটি আত্মহত্যার কোচের মতো কাজ করেছে। এটি ছেলেকে মায়ের সঙ্গে কথা না বলতে এবং নিজের ক্ষতি করতে পরামর্শ দিয়েছে। ফলস্বরূপ অ্যাডাম আত্মহত্যা করেছে।

ওপেন এআই-এর বিরুদ্ধে ৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন আত্মহত্যা করেছেন এবং বাকি ৩ জন মানসিক চাপে ভুগছেন। এসবই চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলার ফল। চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে মানুষকে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও উঠেছে।


চ্যাটজিপিটির মূল কোম্পানি ওপেন AI কী বলেছে?

চ্যাটজিপিটির মূল কোম্পানি ওপেন এআই-এর মতে, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীদের মাত্র ০.১৫ শতাংশ প্রতি সপ্তাহে আত্মহত্যার পরিকল্পনা এবং আত্মহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন। এর জবাবে ওপেন এআই বলছে, চ্যাটজিপিটি কেবল একটি চ্যাটবট, কোনো পেশাদার চিকিৎসক নয় যে মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করতে পারে।

তবে চ্যাটজিপিটি ছাড়াও ক্যারেক্টার এআই-এর মতো আরও অনেক এআই চ্যাটবটের বিরুদ্ধে আগে থেকেই গুরুতর মামলা রয়েছে। এগুলো ঠেকাতে এআই-এর জন্য কঠোর নির্দেশিকা জারি করা দরকার, যাতে এআই-এর ব্যবহার নিরাপদ হয়।


AI নিরাপত্তা নির্দেশিকা: একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

AI (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স)-এর দ্রুত বিকাশের সাথে সাথে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। এআই নিরাপত্তা নির্দেশিকা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকার এবং কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, যা এআই সিস্টেমকে নিরাপদ, নৈতিক, স্বচ্ছ এবং মানুষকেন্দ্রিক করার উপর জোর দেয়। এই নির্দেশিকাগুলো ঝুঁকি (যেমন পক্ষপাত, গোপনীয়তা লঙ্ঘন, দুর্ভোগজনক ব্যবহার) কমানো এবং সুবিধা বাড়ানোর জন্য পথপ্রদর্শন করে। 

 যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এআই বিল অফ রাইটস ব্লুপ্রিন্ট (Blueprint for an AI Bill of Rights)
২০২২ সালে হোয়াইট হাউস প্রকাশিত এই ফ্রেমওয়ার্ক এআইকে নিরাপদ ও কার্যকর করার উপর কেন্দ্রীভূত।

 প্রধান নীতি:
  • নিরাপদ ও কার্যকর সিস্টেম: কঠোর পরীক্ষা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং অবিরাম নজরদারির মাধ্যমে ক্ষতি প্রতিরোধ।
  • অ্যালগরিদমিক বৈষম্য থেকে সুরক্ষা: পক্ষপাতমুক্ত ডেটা এবং প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে ন্যায্যতা নিশ্চিত।
  • ডেটা গোপনীয়তা: ব্যবহারকারীর সম্মতি এবং ন্যূনতম ডেটা ব্যবহারের উপর জোর।
  • তথ্য ও ব্যাখ্যা: এআই সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা এবং মানুষের হস্তক্ষেপের সুযোগ।
এই ফ্রেমওয়ার্ক ফেডারেল সংস্থাগুলোকে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক নীতি প্রয়োগের নির্দেশ দেয়।